রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

কৃষ্ণপুরের কবি




আমার গাঁয়ে বন বনানী ফলফলাদির গাছ
দিঘি পুকুর খালে জোলে হরেক রকম মাছ
নদীর বুকে নৌকা চলে তুলে রঙিন পাল
নায়ের মাঝি ধরে থাকে শক্ত হাতে হাল।

আপার পানি টইটম্বুর শাপলা ফোটে বিলে
মরা গাঙে জল আসে যেই পাড়ার ছেলেপিলে
এপার ওপার সাঁতার কাটে ভাসায় কলার ভেলা
সকাল-বিকেল চলে মজার নাও পারানির খেলা।

হালের বলদ দিয়ে কৃষক করে লাঙল চাষ
মোষের পিঠে চড়ে রাখাল খাওয়ায় আলের ঘাস
লাঠি খেলা জারি সারি মানিক পীরের গান
গেয়ে সবাই মাতোয়ারা যখন ওঠে ধান।

ভুট্টা ক্ষেতের কোলে কোলে পানের বরজ ওই
বাবলা বনে বুনো ঘুঘু ডাক পাড়ে পই পই
শিশু গাছের মগডালে সব হরিয়ালের বাসা
উলুর বনে ডিম পেড়েছে ভরত খাসা খাসা।

নাটাই ঝোপে গুড়ু ঘুমায় আরামে দিন কাটে
হাজার পাখির আনাগোনা ঢেলাগাড়ির মাঠে
কলসি ঘড়া কাঁখে ঘাটে যায় বধূ মা বোন
লেকের ধারে গাংশালিকে জমায় আলাপন।

সাঁঝের বেলা ঝিঁঝিঁ ডাকে, বাঁশ বাগানের তলে-
মেলা বসায় ঝিলমিলিয়ে জোনাক পোকা জ্বলে
যেইদিকে চাই নয়ন জুড়ায় কী অপরূপ ছবি
অল্পে কী আর আমি হলাম কৃষ্ণপুরের কবি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ খ্রি.
হাজিবাড়ি, কোর্টপাড়া, চুয়াডাঙ্গা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন