বাদশাহী ঢঙে চলে কী দারুণ চালু সে
অন্যের চোখে দেয় ধুলো কাদা বালু সে
রোজ রোজ সন্ধ্যায় আনমনে আবেশে
একদম একা বসে চুপচাপ ভাবে সে।
অন্যকে ফেলে দেয় বিপদে ও ফাঁদে সে
অকারণে কী করুণ নাঁকো সুরে কাঁদে সে
কৌশলে সোনা রূপা লুফে নেয় আপসে
ভয় ভীতি মারধর দিতে পারে চাপও সে।
এজমালি জমা জমি শুধু জাল করে সে
দুই হাতে ইনকাম মালপানি ধরে সে
চোখ বুজে ধ্যান করে মাথা গুজে বালিশে
ধান্দার পথ ঘাট বের করে খালি সে।
মানুষের লাখ লাখ টাকা কড়ি ধারে সে
চাইলেও মহা ফের চড় চাটি মারে সে
জমিদারি ভাব নিয়ে হাঁটেহোঁটে আয়েশে
ডানে রেখে সোজা পথ ঘুরে চলে বাঁয়ে সে।
মহাজনি ধান গম দাদনেও ছাড়ে সে
কিস্তির বোঝা তোলে গরিবের ঘাড়ে সে
লোন ছেড়ে সুদ তোলে মাস গোনে আঠাশে
স্বার্থটা ফুরুলেই হেসে দেয় টা টা সে।
টেন্ডারে কারচুপি ভোগিজোগি জানে সে
নিজপাতে ঝোল ঢেলে পর কাছে টানে সে
হামলা ও মারধর চলে তার আদেশে
কোত্থাও চলে নাকো চেলাপেলা বাদে সে।
ভয়ানক মানুষের উপমা ও ছবি সে
খালবিল লুটে খায় রাক্ষুসী লোভী সে
নিয়োগের বখরাতে বাড়ি তোলে আকাশে
চিনলে না বাপু তাকে অমুকের কাকা সে!
০৮ এপ্রিল ২০১৩
হাজিবাড়ি, মুক্তিপাড়া, চুয়াডাঙ্গা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন